যে ৬টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে ।
নারীদের ব্যাপারে মুহাম্মাদ (সা.) এর ভবিষ্যদ্বাণী
নারীদের ব্যাপারে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম করেছেন। সেই ভবিষ্যৎ বাণীতে তিনি নারীদের পোশাক সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আপনি হয়তো জানেন যে পোশাক একজন নারীর সম্ভম বা শালীনতা। সুন্দর পোশাক পরা কোরআন সুন্নাহ এর মধ্যে পড়ে। হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন একপ্রকার নারী জাহান্নামী।
ওই নারী যারা কাপড় পড়ে উলঙ্গ থাকে, অর্থাৎ এমন ভাবে কাপড় পরিধান করে যার দ্বারা তার শরীরের ভিতরে চামড়া এবং পশম দেখা যায়। নাউজুবিল্লাহ
ওই নারী যারা এমন ভাবে সাজসজ্জা করে যেন অপর পুরুষ তাদের দিকে আকৃষ্ট হয়। অর্থাৎ খুবই টাইট ফিট পোশাক পড়ে যাতে তাদের শরীরের আকার আকৃতি স্পষ্ট ভাবে বুঝা যায়। নাউজুবিল্লাহ
ওই নারী যারা মাথার খোপা বাঁধে একদম উটের কুজোর মতো। অর্থাৎ এমন ভাবে মাথার চুলের খোপা করে যেন এদিক ওদিক নড়াচড়া করছে। এই সকল নারীরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।এমনকি এরা জান্নাতের সুঘ্রান ও পাবে না। নাউজুবিল্লাহ
যে ৬টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে
আপনি কি কখনো ভেবেছেন যে সামান্য ছয়টি কাজ করলে আপনিও জাহান্নামী হতে পারেন। আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। আর যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পড়বেন। আপনার বাসায় মা বোনদের বলার জন্য সাবধান করার জন্য। সুতরাং চলুন যে ছয়টি কারণে নারীরা জাহান্নামে যাবে, সেই ছয়টি বিষয় বিস্তারিত জেনে নেই।
- যে নারী স্বামীর সাথে তর্ক করে, কুরআনে এই ধরনের নারীর জন্য কঠিন সাজা রয়েছে। কেয়ামতের দিন ওই সকল নারীদের জিহ্বা দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় শাস্তি দেওয়া হবে। এবং জিব্বা থেকে টেনে বের করে শরীরের সমস্ত ওজন জিহবার উপর ছেড়ে দেওয়া হবে। নাউজুবিল্লাহ
- যে নারী অবৈধ সম্পর্ককারি, এই ধরনের নারীরা বিচারের দিন তাদের শরীরের সমস্ত ভর তাদের স্তনের উপর ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে। নাউজুবিল্লাহ
- যে নারী নামাজ পড়ে না এবং পবিত্রতা অর্জন করে না অর্থাৎ কিছু নারী রয়েছে যারা ইচ্ছে করেই পবিত্রতা অর্জন করেনা। অপবিত্র অবস্থায় থাকে। ধরুন এক মহিলার ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরও ইচ্ছে করেই গোসল না করে নামাজের ওয়াক্ত ছেড়ে দিয়েছে এই ধরনের নারীদের কেয়ামতের দিন কঠিন সাজা হবে। নাউজুবিল্লাহ
- যে নারী মিথ্যা কথা বলে ও গীবত করে, অর্থাৎ যে নারী পরনিন্দা ও মিথ্যা কথা বলে। পবিত্র কুরআনে রয়েছে পরনিন্দাবাদ গীবত করা মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা সমান। যারা এই কাজ করবে তাদের শাস্তি ভয়াবহ। নাউজুবিল্লাহ
- যে নারী অন্যের উপকার করে খোটা দেয় এবং অন্যের সুখ দেখে হিংসা করে। অর্থাৎ সমাজে এমনও নারী রয়েছে হয়তে কিছু একটা উপকার করেছে কিন্তু বারবার তাকে সেই উপকার নিয়ে ফোটা দেয়। বা অন্যের সুখ দেখে হিংসে করে। এই ধরনের নারীদের মুখ্যব্বরে জাহান্নামের আগুন প্রবেশ করিয়ে মলদ্বার দিয়ে বের করে দেয়া হবে। নাউজুবিল্লাহ
- যে নারী মাথার চুল খোলা রেখে বেপর্দা হয়ে বাইরে যায়। হঠাৎ যে সকল নারীরা পর পুরুষদের দেখানোর জন্য মাথার চুল খোলা রেখে বেপর্দায় বাইরে বের হয়। তাদের জন্য কুরআনে কঠিন শাস্তি রয়েছে। কুরআনে বর্ণিত রয়েছে মেয়েদের ঘাড় মাথা ও বুক মোটা কাপড় দিয়ে ঢাকতে হবে। এটা নারীদের উপর ফরজ। যারা এই কাজ করবে না তাদের জাহান্নামের মাথার চুল দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে আর মগজ ফুটন্ত পানির মতো টগবগ করতে থাকবে। নাউজুবিল্লাহ
নারীদের ধ্বংসের ৮টি কারণ
মুসলমান নারী হিসেবে নারী পুরুষের আটটি কারণ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে আছে যে নারীদের কয়েকটি ধ্বংসের কারণ। চলুন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আটটি কারণ এই অধ্যায়ে আলোচনা করা যাক।
এই অধ্যায়ে আমরা নারীদের ধ্বংসের ৮টি কারণ সম্পর্কে জানব। চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে আসি।
👉ধ্বংস হোক ঐসব নারী, যারা চোখের উপরের লোম উঠায় এবং অন্যকে উঠাতে সাহায্য করে।
-( সহিহ বুখারী: ৪৮৮৬)
-( সহিহ বুখারী: ৪৮৮৬)
👉ধ্বংস হোক তারা যারা নারী হয়েও পুরুষের বেশ ধারণ করে।
- ( বুখারী, মিশকাত শরীফ: ৪৪২৯)
👉ধ্বংস হোক তারা, যেসব নারী সুগন্ধি মেখে বের হলো এবং অন্য কোনো পুরুষের নাকে সেটার ঘ্রাণ গেলো, ঐ নারী ব্যাভিচারিণী।
- ( সহিহুল জামে: ৪৫৪০)
👉ধ্বংস হোক ঐসব নারী, যারা শরীরে উল্কি ( ট্যটু ) আকেঁ এবং অন্যকেও এঁকে দেয়।
-( সহিহ মুসলিম: ২১২৫)
👉অভিশাপ তাদের জন্য যেসব নারী পরচুলা (আলগা চুল) পরিধান করে।
-( সহিহ বুখারী: ৪৮৮৬)
👉ঐসব নারী যারা স্বামীর রোজগারে অসন্তুষ্ট থাকে।
- ( সহিহ বুখারী: ৬৬৫৭)
👉ঐসব নারী যারা না জেনেই ধারণা করে অন্যের নামে মিথ্যা অপবাদ রটায়।
- ( সহিহ মুসলিম: ২৫৬৩)
👉ধ্বংস ঐসব নারীদের জন্য যারা অন্যের পিছনে সমালোচনা, গিবত করতে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে।
-(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৭৪)
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আপনি যদি পুরুষ হন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিবারের মেয়ে বা মহিলা সদস্যদের এই বিষয়টি জানাতে একদম ভুলবেন না। আর আপনি যদি একজন মেয়ে হন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন এগুলো সমস্ত হাদিস থেকে বর্ণিত। আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।
আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের সবাইকে হিদায়াত দান করুন , আমিন।
লেকচার বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url